ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছিলেন বাংলাদেশিরা (Bangladeshi)? সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আসলে সেই রাজ্যের ‘লাড়কি বহিন’ (Ladki Bahin Yojna) প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সম্প্রতি, দক্ষিণ মুম্বইয়ে (South Mumbai) পুলিশি অভিযানের সময় বাংলাদেশি নাগরিক উর্মিলা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তিনি ভুয়ো পরিচয়পত্র (Fake Identity Card) ব্যবহার করে এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছিলেন।
মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, উর্মিলার বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায়। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় তিনি দাবি করেন, তিনি ভারতীয় নাগরিক। দাবির সমর্থনে তাঁর আইনজীবী আদালতে একটি আধার কার্ডও জমা দেন। যদিও পুলিশ জানায়, ওই আধার কার্ডটি ভুয়ো। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, ‘লাড়কি বহিন’ প্রকল্পের তালিকায় উপভোক্তা হিসেবে তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: কবর থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে খুলি, কঙ্কাল! বিহারে হচ্ছেটা কী?
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র জুড়ে বড় পরিসরে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় অভিযান চালানো হচ্ছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কামাতিপুরা এলাকার পুলিশি অভিযানে ধরা পড়েন উর্মিলা খাতুন সহ আরও পাঁচ বাংলাদেশি। অভিযোগ, এঁরা ভারতীয় দালালদের মাধ্যমে ভুয়ো আধার কার্ড ও অন্যান্য পরিচয়পত্র বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, উর্মিলা খাতুন শুধুমাত্র অবৈধ অভিবাসনই করেননি, বরং ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের ‘লাড়কি বহিন’ প্রকল্পের সুবিধাও পেয়ে আসছিলেন। এই ঘটনার পর মহারাষ্ট্রে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কীভাবে একজন বাংলাদেশি মহিলা ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের পিছনে একাধিক ভারতীয় দালালের হাত রয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ ইতিমধ্যে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ধৃত বাংলাদেশিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
দেখুন আরও খবর: